মাহমুদা খানম মিতু হ;;ত্যা মা;;মলার অন্যতম আ;সামি কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা। সাবেক পুলিশ সুপার এবং মিতু`র স্বামী বাবুল আক্তার মুসাকে ‘শেল্টার’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন মুসার খোঁজ নেই। মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, সন্তানদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ভয়ে এত দিন তিনি মুখ খুলিনি। এখন জানতে চাই মুসা কোথায়? পান্না আরো বলেন, ‘মা;;মলার স্বার্থেই তার স্বামী মুসাকে খুঁজে বের করা জরুরি।’
মিতু হ;;ত্যায় বুধবার (১২ মে) পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল এবং বাবুল আক্তারকে ১ নম্বর আ;সামি করে নতুন মাম;লা দা;য়েরের পর প্রথম যে প্রশ্নটি ওঠে তা হলো, মুসা এখন কোথায়? বুধবার পিবিআইয়ের উপমহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মুসাকে মিতু হ;;ত্যার ঘটনাস্থলে দেখা গেছে। তিনি বাবুল আক্তারের সোর্স এবং পলা;তক।
পুলিশের খাতায় মুসা পলা;তক হলেও পান্না আক্তার বলেন, কাঠঘর তিন রাস্তার মোড় থেকে তাঁর চোখের সামনে দিয়ে পুলিশই মুসাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মুসা নি;খোঁ;জ। নতুন মাম;লায় বাবুল আক্তার ১ নম্বর আসা;মি, মুসা ২। পান্না আক্তারের প্রশ্ন, মুসাকে বলা হচ্ছিল এই ঘটনার নির্দেশদাতা। আর কেউ নির্দেশ দিলে কেন তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে হ;;ত্যা করবেন? এই প্রশ্নের জবাব পুলিশ খোঁজেনি।
পান্না আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, মুসার সঙ্গে বাবুল আক্তারের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এমনকি বাবুল আক্তার যখন সুদানে যান, তখনো তিনি মুসার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ২০১৬ সালের ৫ জুন যেদিন মিতু খু;;ন হন, সেদিন তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে চট্টগ্রামের কালামিয়া বাজারের বাসায় ছিলেন। বাবা অ;সুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি মুসাকে বাসায় রেখে রাঙ্গুনিয়ায় বাবার বাসায় চলে আসেন।
হঠাৎ শুনতে পান তাঁদের বাড়িতে পুলিশ গেছে। নানা জায়গায় সাদাপোশাকে পুলিশ মুসার খোঁজ করছে। এর মধ্যে মুসা তাঁদের রাঙ্গুনিয়ার বাসায় চলে আসেন। মুসা একাধিক ফোন ব্যবহার করতেন। একবার একটা ফোন পান্নার কাছে রেখে তিনি বেরিয়েছিলেন। এ সময় টিঅ্যান্ডটি নম্বর থেকে ফোন আসে। ও প্রান্তে কে কথা বলছিলেন তিনি জানেন না। তবে ওই ব্যক্তি তাকে বলেন মুসা যেন সাবধানে থাকে।
মুসা বাসায় ফিরলে পান্না জিজ্ঞেস করেন, কেন তাকে পুলিশ খুঁজছে? কেনই-বা ফোন করে তাকে সাবধানে থাকতে বলা হচ্ছে।পান্না আক্তার বলেন, প্রথমে মুসা বিষয়টি এড়িয়ে যান। এর মধ্যে যে মোটরসাইকেল মিতু হ;;ত্যায় ব্যবহার হয়েছিল সেটি খুঁজতে পুলিশ রাউজান পৌঁছায়। এ সময় বাবুল আক্তার ফোন করেন। পান্না তখন মুসার পাশেই বসা। ওই প্রান্তের কথা পরিষ্কার শুনতে না পেলেও, মুসা বলেন, ‘আমার পরিবারের কিছু হলে আমি কিন্তু মুখ খুলব স্যার।’ পান্নার ধারণা, কথোপকথনটি হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৮ বা ১৯ জুন।
এবার পান্না সরাসরি মুসাকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি মিতু হ;;ত্যায় জড়িত কি না। জবাবে মুসা তাকে বলেন, বাবুল আক্তার তাকে খু;;ন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি রাজি হননি। তবে লোক দিয়েছিলেন। এই কাজে সহায়তা না করলে বাবুল তাকে ফাঁ;;সিয়ে দেবেন, এমন আশ;;ঙ্কা করছিলেন। বাবুল তাকে আ;শ্বস্ত করে বলেছিলেন, তিনি ‘শেল্টার’ দেবেন। মুসার কিছু হবে না।
পান্না আক্তার বলেন, পুলিশ সাঁড়াশি অ;ভি;যান শুরু করেছিল। তাদের পরিবারে আর কোনো পুরুষ ছিল না। এ অবস্থায় মুসা ২২ জুন আদালতে আ;;ত্মসমর্প;ণের সিদ্ধান্ত নেন। ওই দিনই পুলিশ তার হাতে হাতক;ড়া পরিয়ে নিয়ে চলে যায়। তারপর প্রচার করে মুসা প;লা;তক।